nishat

হালকা মোটিভেশন যা জানা প্রয়োজন,,

আজ তোমাদের কিছু কথা মন থেকে বলতে চাই,,, আমরা যখন কোনো কিছু শিখি তখন পারবোনা এটা স্বাভাবিক,

আর তুমি পারবে এটা অস্বাভাবিক কারণ ; তুমি যা জানতে না, যা পারতে না,
তা ধিরে ধিরে অর্জন করতেছো , শিখে ফেলতেছো এটা সত্যিই অবাক করার মতো!

ব্যাপারটি অসম্ভব ছিলো, কষ্টকর ছিলো, এতোটা সহজ ছিলোনা কিন্তু তা তুমি সম্ভব করে ফেলেছো ঠিক ছোট বেলার মতো

ছোট বেলায় যখন তোমার বাবা-মাকে মানুষ বলেছিলো আপনার ছেলে/ মেয়েতো এখনো হাঁটা শিখে নাই ,সেদিন তারা বলেছিলো ইনশাআল্লাহ নিশ্চই পারবে তখন তুমি রবের সহযোগিতায় হাঁটা শেখার অসম্ভব চেষ্টা করে গিয়েছিলে। এরপর তুমি কিন্তু ঠিকই পেরেছিলে।আজ এটা শুনে তোমার কাছে হাস্যকর মনে হবে , এটাতো একদমই সহজ কাজ!

আসলে তা মোটেও সহজ কাজ ছিলোনা।একবারও কি ভেবেছ ? কেন এটা সম্ভব হলো !

কারণ তোমার সেদিন কোনো ভয় বা পিছুটান ছিলোনা , তুমিতো ভয় কি জিনিস তাই জানতেনা, তোমাকে বাঁধা দেওয়ার কেউ ছিলোনা, “পারবেনা” এ কথা কেউ বলেনি, সবাই বলেছিলো পারবে এবং বাহবা দিয়েছিলো – “তুমি পারবে” সে জন্য তুমি পেরেছিলে,, তাহলে আজ কেন পারবেনা,
কেন ভয়ে পালিয়ে যাও ? তুমিতো সেই সাহসী বীর যে অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলো!

কোনো কিছু শেখা পর তুমি কেন পেরে যাও জানো?

আমি বলছি –
তুমি কি শিখতে হবে…
তার লিষ্ট জানো !
কোনটার পর কোনটা শিখতে হবে তাও তুমি জানো!

কিভাবে অনুশীলন করতে হয় সেটাও তুমি জানো !শেখার পর ভবিষ্যতে কি হওয়া যায় সেটা তুমি নিশ্চিত জানো,তুমি অনুশীলন করে গিয়েছ দিনের পর দিন, সবাই বলেছিলো তুমি পারবে না , তাদের কথায় তুমি কান দাওনি ।অনেক সময় কাজ তোমার মনের মতো হয়নি, আশানুরূপ ফল পাচ্ছ না তারপরও কেন জানি তুমি হাল ছেড়ে দাওনিঅনেক সময়ই মনে হয়েছে পারবেনা । কোথাও যেন ঘাটতি আছে, তখন আবার প্রথম থেকে প্র্যাকটিস করা শুরু করে দিয়েছিলে,এবার আগের বার থেকো একটু বেটার হয়েছে এখন তুমি কনফিডেন্স পাচ্ছ কারণ তুমি কাছাকাছি কিছু একটা বানিয়ে ফেলেছো, এবার তুমি একটু নড়ে -চড়ে বসেছো।আগে হেলান দিয়ে আরাম করে ছিলে, এখন আরাম বিসর্জন দিয়ে আবার মডিফাই করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছোকিছুটা পারার কারণে তোমার আগ্রহের মাত্রা চরম পর্যায়ে চলে গিয়েছে।

তুমি এখন নাওয়া, খাওয়া, সিনেমা দেখা, বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়া কমিয়ে দিয়েছ, আগে মোবাইল পেলে ফেসবুকিং করতে সেটাও এখন করার সময় নেই,

মোবাইলে ঘন্টার পর ঘন্টা গেমস খেলতে কিন্তু এখন ওই কাজগুলো বাদ দিয়ে

তুমি উঠে পড়ে লেগেছো স্বপ ছোঁয়ার আশায়।

সারাক্ষণ শুধু এই চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খায় যে , কিভাবে মনের মাধুরী মিশিয়ে প্রজেক্ট / কাজ / পড়াশোনায় আরো ভালো করা যায়,কারণ তুমি জানো জীবনে বেঁচে থাকলে গেমস খেলা, ফেসবুকিং করা, আড্ডা দেওয়া, সিনেমা দেখা, সবই করা যাবেকিন্তু এখনকার মত লার্নিং করার এনভায়রনমেন্ট (শেখার পরিবেশ) সময় ও সুযোগ আর পাওয়া যাবে না,পরিবার এখন যে সুযোগ দিচ্ছে বা যতটুকু সচ্ছল আছে তা ভবিষ্যতে নাও থাকতে পারে ।
এগুলো ভাবলেই
তোমার প্রচুর মোটিভেশন ও
ইচ্ছা শক্তি কাজ করে ‌।

তোমার মনে হবে এট লিষ্ট পরিবারের জন্য হলেও, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা দরকার….!
ফ্যামিলির হাল ধরা দরকার…!

নিজের ও পরিবারের শত্রুদের বুঝিয়ে দেওয়া দরকার ।

হ্যা! আমি পারি ,

এবার কাজের মাধ্যমে জবাব দেওয়ার পালা ,
নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে, নিজের প্রাপ্য মূল্যায়ন ছিনিয়ে নিবে সমাজ থেকে কারণ ; আজ তুমি যোগ্য সেই সম্মানের কারণ এটা তোমার অধিকার।এই জেদ ?, ইচ্ছা শক্তি ও জ্বালানি? হিসেবে পরিশ্রমকে , যারা এগিয়ে নিয়ে যাবে তাদের স্যালুট এবং মন থেকে দোয়া।যেদিন তুমি একজন ভালো মানুষ হতে পারবে, যোগ্য হয়ে হয়ে উঠবে, আপনজনদের ভুলে যাবেনা , কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে জানবে, মানবিক হবে, সেই দিন তুমি সমাজের কাছে , পরিবারের কাছে এক স্বর্ন মুকুট ?তখন তুমি পরিবারের কাছে এমন এক শেষ্ঠ সন্তান হয়ে উঠবে যা তারা সবসময় তাদের মোনাজাতে চেয়েছিলো ‌।

কেন জানো?
আজ তাদের এই ছোট্ট ছেলে বা মেয়েটি তাদের পরিবারকে সাপোর্ট করছে এবং সমাজের কাছে তার সন্তান আজ খুবই মূল্যবান হয়ে উঠেছে,তাদের আর কিছু চাওয়ার নেই, তাদের জীবন স্বার্থক।

তোমাদের কি ইচ্ছে করেনা! তোমার বাবা – মায়ের চোখে সেই আনন্দের অশ্রু ঝরাতে…?

__শিক্ষকরা তখনই সফল যখন তার আদরের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের নেক উদ্দেশ্য নিয়ে ভালো মানুষ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়।

mustafa sir
মোঃ মোস্তফা রাহমান
তথ্য ও প্রযুক্তি শিক্ষক,

মাদবারহাট ইসলামিয়া ফাযিল (স্নাতক) মাদ্রাসা
ওয়েব এন্ড সফটওয়্যার ডেভেলপার, C360SOFT.AI, INDIA

Copyright © সুফিয়া নূরীয়া ফাযিল মাদ্রাসা All rights reserved | Developed by Mustafa Rahaman